ডার্ক চকলেট দাম কত । আমুল ডার্ক চকলেট দাম

ডার্ক চকলেট দাম কত -ডার্ক চকলেট হল এক ধরনের চকলেট যাতে কোকো সলিড এবং কোকো বাটার থাকে যা দুধ বা মাখন ছাড়াই মিল্ক চকলেটে পাওয়া যায়। অতিরিক্ত মিষ্টি ছাড়া ডার্ক চকলেট তিক্ত চকোলেট বা মিষ্টিবিহীন চকলেট নামে পরিচিত। অন্যান্য দুটি প্রধান ধরণের চকলেটের মতো, ডার্ক চকলেট চকলেট বার বা মিষ্টান্নের আবরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

ডার্ক চকলেট দাম কত । আমুল ডার্ক চকলেট দাম

ডার্ক চকলেট খাওয়ার নিয়ম 

ডার্ক চকলেট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে, তবে এটি একটি মিষ্টি খাবার। তাই এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
ডার্ক চকলেট কেনার সময়, কোকো সলিডের পরিমাণের দিকে নজর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। 70% কোকো বা তার বেশি চকলেট সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা সরবরাহ করে। এছাড়াও, ডার্ক চকলেটতে অতিরিক্ত চিনি বা চর্বি যুক্ত না থাকা উচিত।
ডার্ক চকলেট খাওয়ার নিয়মগুলি নিম্নরূপ:
  • কোকো সলিডের পরিমাণের দিকে নজর দিন। 70% কোকো বা তার বেশি চকলেট সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা সরবরাহ করে।
  • অতিরিক্ত চিনি বা চর্বি যুক্ত চকলেট এড়িয়ে চলুন।
  • পরিমিত পরিমাণে খান। প্রতিদিন 28-30 গ্রাম ডার্ক চকলেট খাওয়া উপকারী হতে পারে।
  • খাবার খাওয়ার আগে বা পরে ডার্ক চকলেট খান। এটি আপনাকে খাওয়ার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ডার্ক চকলেট খাওয়ার কিছু টিপস:
  • ডার্ক চকলেটকে একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক হিসাবে ব্যবহার করুন।
  • ডার্ক চকলেট দিয়ে আপনার খাবারকে সুস্বাদু করুন।
  • ডার্ক চকলেট দিয়ে কেক, পিষ্টক বা অন্যান্য মিষ্টি তৈরি করুন।
ডার্ক চকলেট খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য ঝুঁকি:
  • ডার্ক চকলেটে ক্যালোরি এবং চিনি থাকে। তাই এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
  • ডার্ক চকলেটতে থিওব্রোমাইন নামক একটি উপাদান থাকে যা কিছু লোকেদের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে।
  • ডার্ক চকলেটতে কোকোয়া বাটার থাকে, যা কিছু লোকেদের জন্য অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
ডার্ক চকলেট খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত যদি আপনি:
  • গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী হন।
  • কোনও স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
  • অ্যালার্জি আছে।

ডার্ক চকলেট কোথায় পাওয়া যায় 

বাংলাদেশে ডার্ক চকলেট কারখানা মূলত দুটি জায়গায় অবস্থিত। একটি হলো ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত "চকলেট এন্ড পেস্ট্রি"। এই কারখানাটি দেশীয় ক্রাফট চকলেট উৎপাদন করে।  । এই কারখানাটিও দেশীয় ক্রাফট চকলেট উৎপাদন করে।
এছাড়াও, কিছু ছোট ছোট কারখানা রয়েছে যেগুলি ডার্ক চকলেট উৎপাদন করে। এই কারখানাগুলি সাধারণত স্থানীয় বাজারের জন্য চকলেট উৎপাদন করে।
"চকলেট এন্ড পেস্ট্রি" কারখানাটি যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল-৫ এর সেন্ট্রাল কোর্টে অবস্থিত। এই কারখানাটি প্রতিদিন 200 কেজি পর্যন্ত ডার্ক চকলেট উৎপাদন করে। তাদের চকলেটের মধ্যে রয়েছে ঝাল ফ্লেভারের চকলেট, কফি ক্রিমের সাথে ডার্ক চকলেট, এবং খেজুরের ট্রাফেল।
"কোকো ল্যাব চকলেট" কারখানাটি আগ্রাবাদের 7 নম্বর গলিতে অবস্থিত। এই কারখানাটি প্রতিদিন 100 কেজি পর্যন্ত ডার্ক চকলেট উৎপাদন করে। তাদের চকলেটের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফ্লেভারের চকলেট, যেমন কফি, বাদাম, এবং ফল।
বাংলাদেশে ডার্ক চকলেটের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই চাহিদা পূরণের জন্য আরও নতুন নতুন কারখানা গড়ে উঠছে।

ডার্ক চকলেট দাম কত

বাংলাদেশের বাজারে ডার্ক চকলেটের দাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। দাম নির্ভর করে চকলেটের ওজন, ফ্লেভার, এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের উপর।
সাধারণত, একটি 100 গ্রাম ওজনের ডার্ক চকলেটের দাম 200 থেকে 300 টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। আরও বেশি ওজনের চকলেটের দাম বেশি হতে পারে।
দেশীয় ক্রাফট চকলেটের দাম সাধারণত আমদানিকৃত চকলেটের চেয়ে কম হয়ে থাকে।
এখানে কিছু জনপ্রিয় ডার্ক চকলেটের দাম দেওয়া হলো:
চকলেট এন্ড পেস্ট্রি:
  1. 100 গ্রাম ওজনের 70% ডার্ক চকলেট - 250 টাকা
  2. 100 গ্রাম ওজনের 85% ডার্ক চকলেট - 300 টাকা
কোকো ল্যাব চকলেট:
  • 100 গ্রাম ওজনের 70% ডার্ক চকলেট - 200 টাকা
  • 100 গ্রাম ওজনের 85% ডার্ক চকলেট - 250 টাকা
অ্যামেরিকান ক্রাফট চকলেট:
  1. 100 গ্রাম ওজনের 70% ডার্ক চকলেট - 350 টাকা
  2. 100 গ্রাম ওজনের 85% ডার্ক চকলেট - 400 টাকা
ডার্ক চকলেটের দাম সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য আপনি আপনার নিকটবর্তী দোকানদারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।

ডার্ক চকলেট এর উপকারিতা 

ডার্ক চকলেট একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যা বিভিন্ন উপকারিতা প্রদান করে। ডার্ক চকলেটের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান।
ডার্ক চকলেটের কিছু উপকারিতা হলো:
  1. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ডার্ক চকলেটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
  2. কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: ডার্ক চকলেটে থাকা ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) এর মাত্রা বাড়ায়।
  3. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: ডার্ক চকলেটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  4. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: ডার্ক চকলেটে থাকা ফাইব্রিনোলিটিন নামক একটি উপাদান মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি উদ্বেগ এবং দুঃখ কমাতেও সাহায্য করে।
  5. ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: ডার্ক চকলেটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। এটি ত্বককে ফর্সা এবং মসৃণ করে তোলে।
ডার্ক চকলেট খাওয়ার কিছু নিয়ম হলো:
  • প্রতিদিন 30 থেকে 50 গ্রাম ডার্ক চকলেট খাওয়া যেতে পারে।
  • ডার্ক চকলেট নির্বাচন করার সময়, কমপক্ষে 70% কোকো থাকা চকলেট বেছে নেওয়া উচিত।
  • ডার্ক চকলেট খাওয়ার পরপরই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
  • ডার্ক চকলেট একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আমুল ডার্ক চকলেট দাম 

আমুল ডার্ক চকলেট বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় ডার্ক চকলেট। এই চকলেটটি ভারতের আমুল কোম্পানি দ্বারা উৎপাদিত হয়। আমুল ডার্ক চকলেটের দাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। দাম নির্ভর করে চকলেটের ওজন, ফ্লেভার, এবং কেনার স্থানের উপর।
সাধারণত, একটি 100 গ্রাম ওজনের আমুল ডার্ক চকলেটের দাম 200 থেকে 300 টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। আরও বেশি ওজনের চকলেটের দাম বেশি হতে পারে।
বাংলাদেশে আমুল ডার্ক চকলেটের কিছু জনপ্রিয় ফ্লেভার হলো:
  • 70% ডার্ক চকলেট: এই চকলেটে 70% কোকো রয়েছে।
  • 85% ডার্ক চকলেট: এই চকলেটে 85% কোকো রয়েছে।
  • ফ্রুট অ্যান্ড বাদাম ডার্ক চকলেট: এই চকলেটে বিভিন্ন ধরনের ফল এবং বাদাম রয়েছে।
আমুল ডার্ক চকলেট বাংলাদেশের বিভিন্ন সুপারমার্কেট, দোকান, এবং অনলাইন শপ থেকে কেনা যায়।
এখানে কিছু জনপ্রিয় আমুল ডার্ক চকলেটের দাম দেওয়া হলো:
  • আমুল 70% ডার্ক চকলেট 100 গ্রাম: 250 টাকা
  • আমুল 85% ডার্ক চকলেট 100 গ্রাম: 300 টাকা
  • আমুল ফল অ্যান্ড বাদাম ডার্ক চকলেট 100 গ্রাম: 265 টাকা
আপনি যদি আমুল ডার্ক চকলেট কিনতে চান, তাহলে আপনার নিকটবর্তী দোকানদারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।

উপসংহার 

ডার্ক চকলেট একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ডার্ক চকলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে।এটি একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যা পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে বিভিন্ন উপকারিতা প্রদান করে।